যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সব ধরনের শিক্ষার্থী ভিসায় নির্দিষ্ট ‘সময়সীমা’ আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বর্তমানে এফ-১ ভিসাধারীরা পড়াশোনা শেষের পরও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছুদিন বৈধভাবে অবস্থান করতে পারেন। ট্রাম্প চান, এই নিয়ম বাতিল করে প্রতিটি শিক্ষার্থী ভিসায় মেয়াদ নির্ধারিত থাকুক। অর্থাৎ, সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
২০২০ সালে ট্রাম্প এই বিষয়টি প্রথমবার কংগ্রেসে উত্থাপন করলেও, সে সময় নির্বাচনী বছরের ব্যস্ততায় তা আলোচনায় আসেনি। এবার আবারও তার প্রশাসন বিলটি কংগ্রেসে জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সময়সীমা পেরিয়ে কেউ ভিসা নবায়ন না করলে তাকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তিনি ফৌজদারি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
বিদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অবস্থান নতুন নয়। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন— যুক্তরাষ্ট্র থেকে নথিবিহীন অভিবাসীদের সরিয়ে দেওয়া হবে। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করার শর্তে ২২০ কোটি ডলারের সরকারি অনুদান ফের চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হার্ভার্ড তা সাফ জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক বড় ধাক্কা হতে পারে। বিশেষ করে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য ট্রাম্পের নতুন এই নীতিমালা হতে পারে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ।